আর অল্পকিছু দিন পরেই মহান স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ। এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের জন্য অনেককেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে হয়। তাই আমরা আপনার জন্য কিছু সুন্দর ও সাবলীল ভাষার সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা নমুনা নিয়ে এসেছি।
Table of Contents
২৬ শে মার্চ এর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। ঐতিহ্যবাহী সোনাতলা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ (এখানে আপনার কলেজ বা প্রতিষ্ঠানের নাম দিবেন) কর্তৃক আয়োজিত আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সম্মানিত সভাপতি, প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, শ্রদ্ধেয় শিক্ষকবৃন্দ ও ছাত্র-ছাত্রী ভাইবোনগণ, সবার প্রতি আমার আন্তরিক সালাম ও শুভেচ্ছা।
আকাশে রক্তিম সূর্য, বাংলার আকাশে উড়ছিল লাল-সবুজের পতাকা। বিশ্বের বুকে জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ নামক একটি নতুন রাষ্ট্র। গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি বাংলার স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি বাংলার বীর সন্তানদের, যারা স্বাধীনতার যুদ্ধে জীবন দিয়ে আমাদের উপহার দিয়েছেন খণ্ড একটি দেশ, যার নাম বাংলাদেশ। তাদের ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি আজকের স্বাধীনতা।
শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ৬৪-এর অসহযোগ আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সূত্রের সাধারণ নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার আন্দোলন জেগে উঠেছিল। নিরীহ, নির্যাতিত বাঙালি জাতি যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করেছিল। ২৫শে মার্চের কালো নির্মম গণহত্যা। ওই রাতে গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধু। তার আগে বার্তা পাঠিয়ে দেন স্বাধীনতার ঘোষণাটি। প্রবাসী সরকারের নেতৃত্বে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, ৩০ লক্ষ মানুষের আত্মত্যাগ আর বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অবস্থান। ২৬শে মার্চ বাঙালির আত্মপরিচয়, গৌরব, বেদনার মহিউদ্দিন। নিপীড়িত, শোষিত মানুষের মুক্তির স্বপ্ন পূরণের মমর।
এদের সবাইকে আবারও স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি আমার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য এখানেই শেষ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে।
২৬ শে মার্চ এর উপস্থিত বক্তৃতা
সম্মানিত অতিথিবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ এবং আমার প্রিয় সহপাঠীগণকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আজ আমাদের গর্ব, আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের স্বাধীনতা দিবস – ২৬শে মার্চ। এই অসামান্য দিনে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদদের স্মরণে আমরা এক মিনিট নীরবতা পালন করি। (নীরবতা)
মূল অংশ:
স্বাধীনতা অর্জনের পথ ছিল দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী। শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, 64 সালের অসহযোগ আন্দোলন, 69 সালের গণঅভ্যুত্থান, 70 সালের নির্বাচন ও বর্জন – প্রতিটি পদক্ষেপে বাঙালির মুক্তিকামনা জ্বলজ্বল করতে দেখা গেছে। 25 মার্চের নির্মম গণহত্যার পর বঙ্গবন্ধু 26 মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেন। 9 মাসের দীর্ঘ মুক্তিযুদ্ধে 30 লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এই স্বাধীন সোনার বাংলা।
স্বাধীনতা আমাদের আত্মপরিচয়, আমাদের গৌরব। এটি বেদনায় মহিউদ্দিন নিপীড়িত শোষিত মানুষের মুক্তির স্বপ্ন।
উপসংহার:
আজ 26শে মার্চ, 2024। আসুন আমরা সকলে মিলে এই স্বাধীনতার মূল্যবোধ ধারণ করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলি।
কৃতজ্ঞতা:
আপনাদের উপস্থিতির জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ।
জয় বাংলা!
আরও পড়ুনঃ ২১ শে ফেব্রুয়ারি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ২০২৪ ।। ekushey february kobita
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য
প্রিয় অতিথিবৃন্দ,
আমি সত্যিই আনন্দিত ও গর্বিত এই মহৎ দিনের উপলক্ষে আপনাদেরকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাতে পারছি। এই দিনের সঠিক মুহূর্তে, আমরা সম্মানিত অতিথিদের, সম্প্রদায়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এই পুনর্নিবেশ অবস্থান অনুভব করছি। আমরা স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে চাই। এই দিনটি স্বাধীনতার গৌরবময় পথে আমাদের পুনর্নিবেশ অবস্থানের জন্য একটি উপযোগী সময়।
এই সম্মানিত দিনে, আমরা এমনকি বিশেষ প্রার্থনা ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি যাতে স্বাধীনতা দিবসের মহত্ত্ব ও গুরুত্ব প্রতীত হয়। আমরা এই সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সঙ্গে একত্রিত বিশ্ববাসীদের জন্য একটি বিশেষ শুভেচ্ছা উপস্থাপন করতে চাই। তারা যারা তাদের জীবনের কঠোর পরীক্ষায় স্বাধীনতা প্রাপ্তির জন্য ত্যাগ করেছিলেন, তাদের কাজের স্মরণে আমরা আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে চাই।
ঐতিহাসিক দিনের গুরুত্ব:/importance of dependence day
স্বাধীনতা দিবসের এই গুরুত্বপূর্ণ দিনটি স্বাধীনতা অর্জনের পথে একটি মূল্যবান অংশ রাখে। এই দিনটি হোক তৃণমূল বিজয়ী আন্দোলনের স্মরণ, অথবা ২৬ শে মার্চের গণহত্যার দুঃখজনক স্মৃতি, তার প্রতিটি ক্ষণে বাঙালির আত্মপরিচয় ও জাতীয় গর্বের উন্নতির সঙ্গে জড়িত। এই দিনটি পূর্বের দুঃখজনক ইতিহাসের বোঝায় এবং ভবিষ্যতের আগত স্বাধীনতা অর্জনের পথে আমাদের নির্দেশ দেয়।
স্বাধীনতা অর্জনের পথ:
স্বাধীনতা অর্জনের পথে বাংলাদেশের মানুষের প্রতি অবিচল সাহস, স্বার্থপর বেগবানি, ও অদম্য প্রেরণা রয়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫০ সালের শিক্ষা কমিশন আন্দোলন, ১৯৫০ সালের জনগণের সাহসী আন্দোলন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ – এই সব আন্দোলন একত্রিত হয়ে একটি শক্তিশালী স্বাধীনতা আনে। এই সব শহীদ ও যোদ্ধাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাচ্ছি যারা তাদের জীবনের বেলা গুলি ও নির্যাতনের কঠোর পরীক্ষা মোকাবেলা করেছিলেন। এই আন্দোলনগুলির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের আত্মপ্রতিষ্ঠান ও জাতীয় গর্ব উন্নত হয়েছে।
স্বাধীনতার গুরুত্ব:
স্বাধীনতা একটি মুক্তিযুদ্ধের নাম, যার মাধ্যমে একটি জাতি তার স্বাধীনতা ও স্বাধীন মত অর্জন করেছে। এটি নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের আত্মপরিচয় ও গৌরবের অধ্যায় হিসেবে লেখা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের সাহস, ত্যাগ, ও অদম্য প্রেরণার প্রতিবিম্ব হিসেবে স্বাধীনতা আমাদের কাছে প্রিয় ও গর্বান্বিত একটি অংশ।
উপসংহার:
আমি প্রতিটি পাঠককে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা এই দিনটির গুরুত্ব ও মানযোগ সম্মানে মনোনিবেশ অবস্থান করতে চাই। আমরা আমাদের উত্তরণ ও প্রগতির পথে এগিয়ে যাওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। শ্রোতাদের উপস্থিতির জন্য আমি একটি বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই। জয় বাংলা!
২৬শে মার্চের অনুপ্রেরণামূলক ও আবেগপূর্ণ বক্তব্য
২৬শে মার্চের অনুপ্রেরণামূলক ও আবেগপূর্ণ বক্তব্য বানানোর কৌশল নিচে বর্ননা করা হইলো।
শুভেচ্ছা:
বঙ্গবন্ধুকে স্বরন:
স্বাধীনতার গল্প:
মুক্তিযুদ্ধের বীরেরা:
স্বাধীনতার মূল্য:
আমাদের দায়িত্ব:
জয় বাংলা:
বঙ্গবন্ধুকে জয়:
শেষ কথা:
নোট:
- বক্তব্যের দৈর্ঘ্য আপনার পছন্দ অনুযায়ী বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে।
- বক্তব্যে আরও তথ্য ও ঘটনা যোগ করতে পারেন।
- আপনার ভাষা ও আবেগের মাধ্যমে শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
আশা করি এই বক্তব্যটি আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আপনার ২৬শে মার্চের অনুষ্ঠানকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে সাহায্য করবে।
জয় বাংলা!
বক্তব্য প্রদানের টিপস:
- স্পষ্ট ও সাবলীল উচ্চারণ
- আত্মবিশ্বাসী ভাবভঙ্গি
- চোখের যোগাযোগ
- উপযুক্ত ভঙ্গিমা
বিঃদ্রঃ
- এই বক্তব্যটি একটি নমুনা। আপনি আপনার প্রয়োজন অনুসারে এটি পরিবর্তন করতে পারেন।
- বক্তব্য প্রদানের সময় আপনার দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের ধারনা প্রকাশ করুন।